মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক বাজেটের প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । তার মতে, এ বাজেট প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে চীনের বাজেটের সাথে তাল মিলিয়ে চলা। এদিকে পেন্টাগনের জন্য মার্কিন সরকার যে পরিমাণ সামরিক বরাদ্দ দেয়, চীন তার এক-চতুর্থাংশ ব্যয় করে বলে জানিয়েছে- পার্সটুডে।
সরকারি ব্যয় এবং উচ্চ করের জন্য গত বৃহস্পতিবার বাজেট পরিকল্পনা উন্মোচন করেন বাইডেন। এছাড়াও তিনি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। সে দিক বিবেচনায় এবারের বাজেটকে অনেকটা নির্বাচনী প্রচারণার বাজেট হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাইডেন ২০২৪ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন তাতে বার্ষিক সামরিক ব্যয় গত বছরের তুলনায় ২৬ মিলিয়ন বাড়িয়ে ৮৪২ বিলিয়ন ডলারে নেয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া বিবৃতি থেকে জানা যায়, চীনের মোকাবেলায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতি জোরদার করার জন্য বাজেটে পেন্টাগনের প্যাসিফিক ডিটারেন্স ইনিশিয়েটিভ-এ ৯১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর মাঝে ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলার মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বরাদ্দ রাখা হবে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের জন্য অজ্ঞাত পরিমাণ অর্থ । পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ৬০০ কোটি ডলার রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীন থেকে প্রায় চার গুণ বেশি এবারের বাইডেন প্রস্তাবিত সামরিক বাজেট। যেখানে চীনের সামরিক বাজেট ২২৫ মিলিয়ন ডালার। তবে এই বাজেটের পেছনেও রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।