রবিউল ইসলাম বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার উলাসী ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্দেশ্য সাগর হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বেত্রাবতীর নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে সে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে খাজুড়া কোল্ডস্টোর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উলাসী গ্রামের সাগর হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্য এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী তার ওপর হামলা নির্মম হামলা চালায়। এক পর্যায় আহতকে মৃত ভেবে বস্তায় ভরে বেত্রাবতী নদীর পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
পরে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি শার্শা থানায় ফোন দিলে থানা পুলিশ তাকে বেত্রাবতী নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করেন এবং গুরুতর অবস্থায় বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়। পরে তার শারীরিক পরিস্থিতি আশংঙ্কা জনক দেখে পরিবারের লোকজন তকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে দায়ীত্বরত চিকিৎসকের পরামর্শে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে সাগরের মা শাবানা খাতুন বাদি হয়ে শার্শা থানায় ৫ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত সাগরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলন, ‘আমি নাভারন বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে খাজুরা কোল্ডস্টোর এলাকায় পৌছালে খাজুরা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে রাফি আমাকে পেছন থেকে ডেকে দাঁড় করিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে রাফি সহ একদল সন্ত্রাসী শরিফুল,আমানউল্লা,মেহেরুল্লা,জহির আলী মিলে আমাকে এলোপাথাড়ী কিল ঘুশি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমার মুখে গামছা বেঁধে হাত পা বেঁধে বাঁশের লাঠি লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। আমি অজ্ঞান অবস্থায় পানি চাইলে তারা আমার মুখে প্রস্রাব করে দেয়। এর পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’
এ বিষয়ে শার্শা থানার তদন্ত অফিসার আকিকুর রহমান আকিক জানান, আহত সাগর হোসেন এর মা শাবানা খাতুন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আমরা তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।