বিপিএলে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সাকিব, আনামুল ও নুরুলকে জরিমানা করা হয়েছে। আম্পায়ারের সাথে তর্ক করার জন্য এই ত্রয়ীকে তাদের ম্যাচ ফি এর ১৫%কর্তন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ফরচুন বরিশাল এবং রংপুর রাইডার্সের মধ্যকার বিপিএল ম্যাচের সময় বিসিবি আচরণবিধির ধারা ২.৪-এর অধীনে আম্পায়ারের আদেশ অমান্য করার জন্য সাকিব ও নুরুলকে জরিমানা করা হয়েছে এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করায় আনামুল হককে জরিমানা করা হয়েছে।
বরিশালের রান তাড়া শুরুর কিছুক্ষণ আগে বরিশালের ওপেনার চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও রংপুরের অধিনায়ক নুরুলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। প্রথমে বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান বোলিংয়ে আসায় বাঁহাতি ডি সিলভা স্ট্রাইক করবেন বলে জানান। কিন্তু বাঁহাতি ডি সিলভা স্ট্রাইক করবেন বলে জানার পর নুরুল বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান থেকে অফস্পিনার মেহেদি হাসানকে পরিবর্তন করেন। কিন্তু বোলারদের পরিবর্তন দেখে আনামুল ও ডি সিলভা স্ট্রাইক বদল করেন, তখন নুরুল ফিরে যান বাঁহাতি রকিবুলের কাছে।
বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আম্পায়ারদের মোকাবিলা করতে মাঠে নামলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়।
পরে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নুরুল জানান, সাকিবকে বাউন্ডারি প্রান্ত থেকে চিৎকার করতে দেখে বোলার পরিবর্তন করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি বোলার পরিবর্তন করছিলাম যখন দেখলাম সাকিব ভাই বাইরে থেকে চিৎকার করছেন। এই প্রথম দেখলাম (অধিনায়ক এভাবে মাঠে ঢুকছেন)।”
বরিশাল ম্যানেজার পরে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, ” সাকিব কেবল আম্পায়ারদের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন কী হচ্ছে তা বোঝার জন্য। “নিয়ম অনুসারে, বোলার নিশ্চিত হলে, ব্যাটসম্যানরা সিদ্ধান্ত নেয় কে স্ট্রাইক নেবে। সাকিব মাহেদীকে বোলার হিসেবে দেখে আনামুলকে স্ট্রাইক করাতে চেয়েছিলেন। আম্পায়াররা যখন তাদের স্ট্রাইক পরিবর্তন করতে দিচ্ছিল না, তখন সাকিব মাঠে আসেন। তাদের সাথে কথা বলতে।”
তিনজন খেলোয়াড়ই দোষ স্বীকার করেছেন এবং ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদের প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন এবং তাই আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। জরিমানা ছাড়াও, প্রতিটি খেলোয়াড়ের শাস্তিমূলক রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়।
এর আগে বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে ওয়াইড না দেওয়ায় আম্পায়ারদের সাথে চিৎকার করার আরেকটি ঘটনায় শাস্তি পাননি সাকিব।-দ্যা সোশ্যাল টাইম্স/ নাঈম